আমার বউ কই??:((:((দাঁড়ান Google সার্চ দিয়া দেখি :-B B:-) B:-/
😊
😊😊
😊😊😊
😊😊😊😊
আর দশটা গ্রামের ছেলের মতই ইয়াজ উদ্দিন (ছদ্মনাম ) সম্পর্কে আমার মামা হন। এস.এস.সি পাশ করার পর আর পড়েননি, (বেকার) ভবঘুরে ইস্টাইলের একটা লোক। ভাইদের ঘাড়ের উপর বসে বসে খাচ্ছিলেন কিন্তু এভাবে আর কতকাল খাবেন??
উনার বড় ভাইরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁকে একটা ব্যবসা ধরিয়ে দিবেন। কিন্তু উনার দ্বারা আবার পারিশ্রমিক ব্যবসা সম্ভব না, একটু অলস টাইপের মানুষ।তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন শেয়ার ব্যবসা করবেন ইয়াজ মামা। শেয়ার ব্যবসায় শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না শুধু একটু মাথা খাটিয়ে শেয়ার কিনে সময় মতো বেচলেই হল বসে বসে টকা আয়, পানির মতো সহজ!! :!> মামরা সবাই মিলে একটা বড় Amount তুলল তুলে ইয়াজ মামার হাতে দেওয়া হল এবার তাকে দেখাতে হবে সে কি করতে পারে।
ইয়াজ মামার শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই।
গ্রাম ছেড়ে শহরে আসলো শেয়ার ব্যবসা প্রত্যক্ষ করতে এবং নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। আমরা ঢাকায় থাকি কাছের আত্মীয় বলতে আমরাই তাই আমাদের বাসায় উঠলেন। আমার পাশের রুমটাতেই থাকতে দেয়া হল।
মামা আমার থেকে বয়সে বড় হলেও কিছু দিনের ভিতরেই বন্ধু সুলভ সম্পর্ক হয়ে যায়।
কথায় কথায় মামার সাথে ফেসবুক নিয়ে কথা বলি কি করে একজন অপরিচিত মানুষ সহজে বন্ধু হয়ে যায়। একটা মেয়ে আর একটা ছেলের মধ্যে এক গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়.আরো অনেক কিছু। মামা বিষয়টা শুনে Interested হয়ে যায়।
বাসায় একটা ডেস্কটপ আর আমার ল্যাপটপ ছিল। মামার রুমে ডেস্কটপ সেট করে দেই নেট কানেকশন দিয়েদি। ফেসবুকে একটা Account খুলে দেই। মামা তখন শেয়ার বাজার আর ফেসবুক নিয়ে থাকতো সারাক্ষণ। দুটোই ভাল যাচ্ছিলো মামার, নতুন নতুন বন্ধু এড হচ্ছে ফেসবুকে আর শেয়ার ব্যবসায় লাভ হচ্ছে।
প্রায় আমার রুমে এসে মামা ফেসবুকের বন্ধুদের গল্প বলতেন....
একটা মেয়ের কথা অনেক বেশী বলেন তার সাথে নাকি অনেক ভাল সম্পর্ক হয়ে গেছে এই মধ্যে। বিষয়টা নিয়ে আমি খুব একটা আগ্রহ করিনি,এটা খুব সাধারণ একটা ব্যাপার মামার কাছে হয়তো ব্যাপারটা একটু অন্য রকম.
দিন ভালই যাচ্ছে মামার, একদিন বিকেলে বসে বসে ল্যাপটপে একটা ডকুমেন্ট তৈরি করছিলাম মামা বিদ্যুৎ চমকানোর মতো দরজা খুললো একটু হকচকায়ে যাই !?!
জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে মামা? বললো তার ফেসবুকের সেই মেয়ে বন্ধুটিকে ফ্রেন্ডলিস্টে খুঁজে পাচ্ছে না বিষয়টা মামার কাছে হয়তো মাথায় বাজ পড়ার মতো,
আমি বিষয়টাকে এতো সিরিয়াসলি নিলাম না বললাম ভাল করে খুঁজে দেখো পাবে আছে হয়তো বললো সার্চ দিয়েতো খুঁজে পেলাম না কথাটা বলতেই যেন কেঁদে দেবে মামা এমন দেখে বললাম ঠিক আছে আমি দেখছি এই বলে ফেসবুকে তাঁর Accountঢুকলাম অনেক খুঁজা খুঁজি করেও পেলাম না। মামাকে বললাম তোমার সাথে কি কোন জগড়া হয়েছে মামা বললো না! বরং তার সাথে তো দেখা করার কথা ছিল বললাম কবে!?
দুই এক দিনের মধ্যে তাহলে এমন হওয়ার কারণ কি? প্রায় এক ঘণ্টা দরে খুঁজলাম কিন্তু যাদের পেলাম তাদের সাথে প্রো-পিকের মিল নেই এক পর্যায়ে মামা হতাশ হয়ে কেঁদে দিলেন মামাকে আর কি বলে সান্ত্বনা দিবো বললাম ok মামা Relax
Googleএ সার্চ দিয়া দেখতেছি নিশ্চয়ই পেয়ে যাবো। Yahoo,bing, Google সব দিয়ে সার্চ দিলাম কিন্তু ঐ মাইয়ার কোন হদিস পাইলাম না ।
এই দিকে মামা নিশ্চুপ নির্বাক হয়ে গেলেন মামাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করলাম বললাম কেউ হয়তো আপনার সাথে মজা করেছে। ফেসবুকে এভাবে অনেককে বিভ্রান্ত করা হয়. যে কোন মেয়ের ছবি ফেসবুকে বসিয়ে ফেক আই.ডি খুলে সহজ সরল মানুষদের বোকা বানানো হয়। কিন্তু কিসে কি মামা তা বুঝতেই চাইলেন না। সেই মেয়ের বিরহে মামা দেবদাশ হয়ে গেলেন।
শেয়ার ব্যবসার মতো হঠাৎ অনেক উঁচুতে উঠে ধপাস করে ডাউন হয়ে যাওয়ার মতো শেয়ার ব্যবসায় হয়তো পতন আছে আবার অনেক উঁচুতে উঠার ক্ষমতা ও আছে।
মামার হয়তো সেই ক্ষমতা নেই কারণ মামা busnessনয়।
মামার জন্য অনেক খারাপ লাগছে। এমনটা তাঁর সাথে হওয়া ঠিক হয়নি। মামা ফিরে যাচ্ছেন তার আগের গ্রামের জীবনে।
এই ইট কাঠের শহর থকে নিয়ে যাচ্ছেন বিষণ্ণতা আর উদাসীনতা নিয়ে.....
😊😊
😊😊😊
😊😊😊😊
আর দশটা গ্রামের ছেলের মতই ইয়াজ উদ্দিন (ছদ্মনাম ) সম্পর্কে আমার মামা হন। এস.এস.সি পাশ করার পর আর পড়েননি, (বেকার) ভবঘুরে ইস্টাইলের একটা লোক। ভাইদের ঘাড়ের উপর বসে বসে খাচ্ছিলেন কিন্তু এভাবে আর কতকাল খাবেন??
উনার বড় ভাইরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁকে একটা ব্যবসা ধরিয়ে দিবেন। কিন্তু উনার দ্বারা আবার পারিশ্রমিক ব্যবসা সম্ভব না, একটু অলস টাইপের মানুষ।তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন শেয়ার ব্যবসা করবেন ইয়াজ মামা। শেয়ার ব্যবসায় শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না শুধু একটু মাথা খাটিয়ে শেয়ার কিনে সময় মতো বেচলেই হল বসে বসে টকা আয়, পানির মতো সহজ!! :!> মামরা সবাই মিলে একটা বড় Amount তুলল তুলে ইয়াজ মামার হাতে দেওয়া হল এবার তাকে দেখাতে হবে সে কি করতে পারে।
ইয়াজ মামার শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই।
গ্রাম ছেড়ে শহরে আসলো শেয়ার ব্যবসা প্রত্যক্ষ করতে এবং নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। আমরা ঢাকায় থাকি কাছের আত্মীয় বলতে আমরাই তাই আমাদের বাসায় উঠলেন। আমার পাশের রুমটাতেই থাকতে দেয়া হল।
মামা আমার থেকে বয়সে বড় হলেও কিছু দিনের ভিতরেই বন্ধু সুলভ সম্পর্ক হয়ে যায়।
কথায় কথায় মামার সাথে ফেসবুক নিয়ে কথা বলি কি করে একজন অপরিচিত মানুষ সহজে বন্ধু হয়ে যায়। একটা মেয়ে আর একটা ছেলের মধ্যে এক গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়.আরো অনেক কিছু। মামা বিষয়টা শুনে Interested হয়ে যায়।
বাসায় একটা ডেস্কটপ আর আমার ল্যাপটপ ছিল। মামার রুমে ডেস্কটপ সেট করে দেই নেট কানেকশন দিয়েদি। ফেসবুকে একটা Account খুলে দেই। মামা তখন শেয়ার বাজার আর ফেসবুক নিয়ে থাকতো সারাক্ষণ। দুটোই ভাল যাচ্ছিলো মামার, নতুন নতুন বন্ধু এড হচ্ছে ফেসবুকে আর শেয়ার ব্যবসায় লাভ হচ্ছে।
প্রায় আমার রুমে এসে মামা ফেসবুকের বন্ধুদের গল্প বলতেন....
একটা মেয়ের কথা অনেক বেশী বলেন তার সাথে নাকি অনেক ভাল সম্পর্ক হয়ে গেছে এই মধ্যে। বিষয়টা নিয়ে আমি খুব একটা আগ্রহ করিনি,এটা খুব সাধারণ একটা ব্যাপার মামার কাছে হয়তো ব্যাপারটা একটু অন্য রকম.
দিন ভালই যাচ্ছে মামার, একদিন বিকেলে বসে বসে ল্যাপটপে একটা ডকুমেন্ট তৈরি করছিলাম মামা বিদ্যুৎ চমকানোর মতো দরজা খুললো একটু হকচকায়ে যাই !?!
জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে মামা? বললো তার ফেসবুকের সেই মেয়ে বন্ধুটিকে ফ্রেন্ডলিস্টে খুঁজে পাচ্ছে না বিষয়টা মামার কাছে হয়তো মাথায় বাজ পড়ার মতো,
আমি বিষয়টাকে এতো সিরিয়াসলি নিলাম না বললাম ভাল করে খুঁজে দেখো পাবে আছে হয়তো বললো সার্চ দিয়েতো খুঁজে পেলাম না কথাটা বলতেই যেন কেঁদে দেবে মামা এমন দেখে বললাম ঠিক আছে আমি দেখছি এই বলে ফেসবুকে তাঁর Accountঢুকলাম অনেক খুঁজা খুঁজি করেও পেলাম না। মামাকে বললাম তোমার সাথে কি কোন জগড়া হয়েছে মামা বললো না! বরং তার সাথে তো দেখা করার কথা ছিল বললাম কবে!?
দুই এক দিনের মধ্যে তাহলে এমন হওয়ার কারণ কি? প্রায় এক ঘণ্টা দরে খুঁজলাম কিন্তু যাদের পেলাম তাদের সাথে প্রো-পিকের মিল নেই এক পর্যায়ে মামা হতাশ হয়ে কেঁদে দিলেন মামাকে আর কি বলে সান্ত্বনা দিবো বললাম ok মামা Relax
Googleএ সার্চ দিয়া দেখতেছি নিশ্চয়ই পেয়ে যাবো। Yahoo,bing, Google সব দিয়ে সার্চ দিলাম কিন্তু ঐ মাইয়ার কোন হদিস পাইলাম না ।
এই দিকে মামা নিশ্চুপ নির্বাক হয়ে গেলেন মামাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করলাম বললাম কেউ হয়তো আপনার সাথে মজা করেছে। ফেসবুকে এভাবে অনেককে বিভ্রান্ত করা হয়. যে কোন মেয়ের ছবি ফেসবুকে বসিয়ে ফেক আই.ডি খুলে সহজ সরল মানুষদের বোকা বানানো হয়। কিন্তু কিসে কি মামা তা বুঝতেই চাইলেন না। সেই মেয়ের বিরহে মামা দেবদাশ হয়ে গেলেন।
শেয়ার ব্যবসার মতো হঠাৎ অনেক উঁচুতে উঠে ধপাস করে ডাউন হয়ে যাওয়ার মতো শেয়ার ব্যবসায় হয়তো পতন আছে আবার অনেক উঁচুতে উঠার ক্ষমতা ও আছে।
মামার হয়তো সেই ক্ষমতা নেই কারণ মামা busnessনয়।
মামার জন্য অনেক খারাপ লাগছে। এমনটা তাঁর সাথে হওয়া ঠিক হয়নি। মামা ফিরে যাচ্ছেন তার আগের গ্রামের জীবনে।
এই ইট কাঠের শহর থকে নিয়ে যাচ্ছেন বিষণ্ণতা আর উদাসীনতা নিয়ে.....
No comments